• বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সংবাদ শিরোনাম
বাঘাইছড়িতে শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ,পরিপত্র জারি বিলাইছড়িতে চিকিৎসকের পদ ৯, আছেন ২ জন, ২৭ নার্সের জায়গায় ৪ জন,সেবা ব্যাহত বাঘাইছড়িতে শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেছে- রহমত উল্লাহ খাজা সন্তু লারমা ভারতে : কোন পথে পাহাড়? মে দিবসে শ্রমজীবীদের শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান ছাত্র-শ্রমিক-জনগণের অভ্যুত্থান নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছে : প্রধান উপদেষ্টা মহান মে দিবস আজ বাঘাইছড়িতে মহান মে দিবস পালিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বৃহত্তর মুসলিম ব্লক থেকে হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল 

সাজেকে পানিতে ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ে বর্ষবরণ শুরু

admin / ১১৩ Time View
Update : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পানিতে ফুল ভাসিয়ে বৈসু, বিজু, বিসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান, বিহু ও সাংলান নামে পরিচিত পাহাড়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ সামাজিক উৎসব বর্ষবিদায় ও বরণের উত্সব শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর থেকে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধ জীবনের প্রত্যাশায় আসন্ন নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে দিনটি শুরু হয়।

রঙ্গিন পোশাক, অলঙ্কার এবং চুলে ফুল পরে আজ ভোরে ফুল ভাসায় সবাই। আজকের দিনকে বলা হয় ‘ফুল বিজু’।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের কাছে উৎসবের তাৎপর্য একই, যদিও তারা একে বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকে। চাকমারা একে বলে বিজু, মারমা-রাখাইনরা বলে- সাংগ্রাই, ত্রিপুরা-বৈসু, তংচঙ্গ্যা-বিশু, অহমিয়া- বিহু, খুমি-সাংক্রাইং, খিয়াং-সাংলান এবং ম্রোরা বলে চাংক্রান।

চাকমারা এই উৎসবকে বিজু বলে এবং তিন দিনব্যাপী উদযাপন করে। বিজুর প্রথম দিন ‘ফুল-বিজু’। এদিন নদী-হ্রদে ফুল ভাসিয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় দেয় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। সেসময় তারা সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন।

দ্বিতীয় দিন মুল বিজু নামে পরিচিত। এই দিনটি নদীতে স্নানের মাধ্যমে শুরু হয় এবং ছোটরা বড়দের কাছে আশীর্বাদ চায়। এদিন নতুন পোশাক পরে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় ছেলেমেয়েরা। বিজু নৃত্যের মধ্য দিয়ে দিন শেষ হয়।

উৎসব শেষ হবে আগামী রোববার বাংলা নববর্ষের দিন ‘গজ্যাপজ্যা’ বা বিশ্রামের মধ্য দিয়ে।

ত্রিপুরা সম্প্রদায় এই উৎসবকে বৈসু নামে ডাকে। তিন দিনব্যাপী এই উৎসব (হারি বৈসু, বৈসুমা ও বাইসু কাতাল নামে পরিচিত) উদযাপন করে। প্রথম দিন তারা খুব ভোরে ফুল কুড়াতে বের হয়, সকালে নদীতে যায় (পরিবার, জাতি, দেশ ও পৃথিবীর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ) উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করতে।

এই উৎসবে পুরুষরা ধুতি, সাদা পোশাক এবং নারীরা রঙিন পোশাক ও রূপার গয়নাসহ বিভিন্ন অলংকার পরে থাকেন। সারাদিন নানা ধরনের আয়োজন থাকে।

ম্রো, মারমা ও রাখাইন, খিয়াংসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বর্ষবিদায় ও বরণের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category