• মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সংবাদ শিরোনাম

ম্রো ভাষায় সাত বীরশ্রেষ্ঠ জীবনী কাহিনী উন্মোচন

admin / ২৬৮ Time View
Update : রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

আগামীকাল মহান বিজয় দিবস। এই দিবসটি সামনে রেখে ম্রো জাতিগোষ্ঠীদের নিজস্ব ক্রামাদি ভাষায় সাত বীরশ্রেষ্ঠ জীবনী কাহিনী ও ১৯৯৮২ সালে ম্রো জাতিগোষ্ঠীদের ক্রামাদি আঁকা ছবির অ্যালবাম মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

রবিবার সকাল এগারোটায় শহরে মধ্যম পাড়া ক্যাফে তং রেস্টুরেন্টের ঘরোয়া পরিবেশে বই ও ছবি উন্মোচন করেন ম্রো ভাষা লেখক ইয়াঙান ম্রো।

এসময় ম্রো আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিত্তন রঞ্জন দাশ, ম্রো ভাষা গবেষক ইঙান ছিন ম্রো,রিং য়ং ম্রো প্রথম আলো সিনিয়র প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যেতি চাকমা, মিনারুল হকসহ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ম্রো ভাষা লেখক ইয়াঙান ম্রো বলেন, ক্রামাদি মেনলে ১৯৮২ সালে ম্রো ভাষার বর্ণমালা উদ্ভাবন করেন। এরপর থেকে নিজস্ব ম্রো ভাষায় একে একে বিভিন্ন গ্রন্থ ও গল্পের বই প্রকাশ করতে থাকি। তাছাড়া শুধু ম্রো ভাষায় নই অন্য যেকোনো জনগোষ্ঠী ভাষার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে টিকে থাকতে হবে। এ জন্য ভাষার গুরুত্ব অনেক বেশি। আর ভাষাচর্চার জন্য দরকার ব্যাকরণ। তাছাড়া নিজেদের সংস্কৃতি ভাষাকে আগলে রাখতে হলে নতুন প্রজন্মকে হাল ধরতে হবে। অন্যথায় নিজেদের ভাষায় হারিয়ে যাবে। তাই সামনে আরো এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি পাশে থাকার আহ্বান জানান।

প্রথম আলো প্রবীণ সাংবাদিক বুদ্ধজ্যেতি চাকমা বলেন, পাহাড়কে রক্ষা করতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। পাহাড়ের অস্তিত্ব থাকতে হলে বন উজার,পাথর উত্তোলন ও পাহাড় খেকোসহ তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একতা না থাকলে আগামীতে পাহাড়ে বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠী বিলুপ্তি হয়ে যাবে।

এর আগে ম্রো ভাষায় হইলাই (বাংলায় তর্জমা করলে উপদেশমূলক), অরি খতি (নিয়মনীতি) ও রাঅং সাংচিয়া (রাসং নামে এক ব্যক্তির গল্প)। ইয়াংঙান ম্রোর দুটি বই ম্রোচ্য সাংচিয়া (ম্র্রো রূপকথা) ও রোয়াসাং (প্রাথমিক গণিত)। ‘ততোং’ নামে ব্যাকরণ বইটি লিখেছেন ম্রো ভাষার লেখক ইয়াংঙান ম্রো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category